মির্জাপুর স্কুল নিজে তার স্কুলে মেলা লাগিয়েছে;
মোঃ ইব্রাহীম মিঞা,বিরামপুর(দিনাজপুর)প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের বিরামপুরে ভৈরব রাজা চালুকৃত ৩২১ বছরের ঐতিহ্যবাহী চৈত্র সংক্রান্তির মির্জাপুর জামলেশ্বর মন্ডপ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল পহেলা বৈশাখ সোমবার। প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও বিশাল আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে এই ঐতিহ্যবাহী মেলা। মির্জাপুর জামলেশ্বর মন্ডপ মেলার পাশেই রয়েছে মাদ্রাসা,মসজিদ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০ ঘটিকায় মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন রয়েছে শ্রেণীকক্ষে ২ শিক্ষার্থী ক্লাশের অপেক্ষায় হাই বেঞ্চের উপর বসে।৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণীর শ্রেণী কক্ষ খোলা থাকলেও শিক্ষার্থী উপস্থিত নেই। বারান্দায় খড়ির বোঝা ও মেলায় দোকান নিয়ে আসা অনেককেই বিশ্রাম নিতে দেখা যায়। এছাড়াও বিদ্যালয়ের মধ্যে দোকানে কেনাকাটা করতে দেখা যায় অনেক ক্রেতাদের।মেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার পরের দিন বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে মেলা অনুষ্ঠিত হতে দেখে কিছু সহকারী শিক্ষকগণ বারান্দায় বসে মেলা দেখতেছেন।
মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ময়নুল ইসলামের সাথে দেখা করতে গিয়ে তিনি বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থাকায় তাঁর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন,তাঁর বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়েছেন দেখাশোনা করতে। বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে বিদ্যালয়ের মাঠে মেলা চলছে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এবিষয়ে ডিসি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অনুমতি নেয়া আছে।আমি সেন্টারে আছি আমার ছেলেমেয়েরা কতগুলো পরীক্ষা দিচ্ছে ওদের কি সুবিধা অসুবিধা হচ্ছে আমি না থাকলে বেকায়দায় পড়ে যাবে না ওরা।
বিদ্যালয়ে মেলা চলার বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শমসের আলী মন্ডলের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন,আমি পরীক্ষা কেন্দ্রে আছি পরীক্ষা শেষে অফিসে আসেন কথা হবে। এবার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব হওয়ায় তাঁর দায়িত্ব কে পালন করছেন এবিষয়ে শিক্ষিত মহলে চলছে বিভিন্ন আলোচনা ও সমালোচনা। পরবর্তীতে তাঁর অফিসে গিয়ে মেলা বিদ্যালয়ে চলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনি লেখেন মির্জাপুর স্কুল (মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়) নিজে তার স্কুলে মেলা লাগিয়েছে।
চৈত্র সংক্রান্তির মির্জাপুর জামলেশ্বর মন্ডপ মেলা পরিচালনা কমিটির সভাপতি শিশির কুমার এর সাথে মুঠোফোনে মেলার অনুমতি ও কয়দিন চলবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু জানিনা। মেলা হওয়ার তো কথা না তবে মেলায় কিছু কাঠের দোকন দুই একদিন থাকতে পারে এটার সমস্ত দায় দায়িত্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিরামপুর থানার উপর।
বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমতাজুল হক এর সাথে আজকেও মেলা চলার বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একদিন ১৪ এপ্রিল সোমবার (পহেলা বৈশাখ) মেলা চলার বিষয়ে একটি আবেদন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও আমার নিকট করছে ১ দিনের জন্য সেটি রয়েছে। আজকে মেলা চলে থাকলে বিষয়টি আমি দেখতেছি।