সাইফুল ইসলাম বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে নির্যাতিত সাবেক ছাত্রদল নেতা নুরুল ইসলামের বাড়ি পরিদর্শন করেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এবি সিদ্দিকুর রহমান।২০১৪ সালে তৎকালীন আওয়ামী শাসনামলে আ’লীগ থেকে মনোনীত সাবেক এমপি বাবেলের নির্দেশে একদল সন্ত্রাসবাহিনী উপজেলার যশরা ইউনিয়নের ভারইল এলাকায় ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি নুরুল ইসলামের বাড়িতে বর্বরোচিত হামলা চালায়। পাশবিক এমপি বাবেলের নেতৃত্বে সংঘটিত হামলা চালিয়ে দুর্বৃত্তরা ক্ষান্ত হয়নি। লুটপাট, ভাংচুর শেষে অগ্নিসংযোগ করে পুরো বাড়ি পুড়িয়ে ভস্মীভূত করে দিয়েছে ২০১৪ সালের ৭ই জানুয়ারি। পুড়ে যাওয়া আসবাবপত্র ও দেয়ালের অংশটুকু এখন ও নৃশংস হামলার সাক্ষ্য বহন করে।২০২৪সালে ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে স্বৈরাচারী সরকার শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর উদীয়মান নতুন সূর্যের মতো বিএনপির লাখো লাখো নেতাকর্মীসহ সাধারণ জনতা মুক্ত হাওয়ায় নিঃশ্বাস নিতে পারছে। স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারছে সাধারণ জনতা। সোমবার বিকেলে নিপীড়িত ছাত্র নেতা নুরুল ইসলামের অগ্নিসংযোগে পুড়ে যাওয়া বাড়ি পরিদর্শনে আসেন এবি সিদ্দিকুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সাদেকুর রহমান,উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম আর খায়রুল ও সাবেক সালটিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শহিদুল রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক রাওনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শাহ আবদুল আল মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক আজিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সদস্য বুলবুল এবং উপজেলা বিএনপির সদস্য সালামসহ আরো অনেকেই। ভস্মীভূত বাড়িটি পরিদর্শন শেষে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সিদ্দিকুর রহমান উল্লেখিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এমনকি এ ঘটনায় জড়িত সকল সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির নিশ্চয়তা প্রদান করেন।
উল্লেখ্য নুরুল ইসলাম ১৯৯৯ সাল থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির রাজনীতির সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। তিনি ২০০২ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ২০০৯ থেকে ২০১১সাল পর্যন্ত ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।